Samaresh Basu’s life endorses the saying that truth is often stranger than fiction. Indeed, his life was no less ordinary than his literary creations. One can even find compelling parallels between his life and his literature. This section tells the story of Samaresh’s life, with its highs and lows, accolades and brickbats, highlighting the author’s personal and professional milestones through the years.
সমরেশের জন্ম ১৯২৪ সালের ১১ ই ডিসেম্বর। বাবা মোহিনীমোহন বসু এবং মা শৈবালীনি বসু। সমরেশের জন্ম হয় রাজানগর গ্রামে তাঁর পৈত্রিক বাড়িতে, যা তখন ঢাকা জেলার মুনশিগঞ্জ সাব-ডিভিশন এর অন্তর্গত। নির্ধারিত সময়ের আগে জন্মের জন্য তার নাম রাখা হয় ‘তড়বড়ি’ বা ‘তড়বড়িয়া’ যার স্থানীয় অর্থ ‘যে তাড়াহুড়ো করে’।
সমরেশের বেড়ে ওঠা ঢাকার নারায়ণগঞ্জে যেখানে ছিল বহু নদীর সমাবেশ। শুরু থেকেই সমরেশের ঘুরে বেড়ানোর প্রবল নেশা। ছেলেবেলায় তিনি একটি ডিঙি নিয়ে বেড়িয়ে পড়তেন এবং এভাবেই তাঁর কত বিকেল কেটে যেত ধলেশ্বরী এবং বুড়ি গঙ্গার নদীবক্ষে এবং তার প্রসারিত চড়ে। স্কুল এবং প্রথাগত শিক্ষা তাঁকে কোনদিনই টানেনি। তবুও সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত তিনি ঢাকায় স্কুলে পড়াশুনো করেছেন, , প্রথমে গিরিশ মাস্টারের পাঠশালাতে এবং তারপর গণ্ডারীয়া গ্র্যাজুয়েট স্কুলে। ব্রতকথা বা ধর্মীয় নানা লোককথা তাঁকে তাঁর কিশোর মনকে গভীর ভাবে প্রভাবিত করে, এবং তাঁর নিজের কথা থেকে জানা যায়, সেগুলি পরবর্তীকালে তাঁর সাহিত্য সৃষ্টিতে অনুপ্রেরণা জোগায়।
সমরেশ নৈহাটি চলে আসেন যেখানে তাঁর দাদা মন্মথনাথ ভারতীয় রেলের কাজে কর্মরত ছিলেন। তাঁকে মহেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয় কিন্তু ক্লাস এইট এর পর নতুন ক্লাসে উত্তীর্ণ না হতে পারায় তিনি স্কুল ছেড়ে দেন।
স্কুলের বেশ কিছু বন্ধুদের নিয়ে তিনি ‘বীণা’ নামে হাতে লেখা একটি পত্রিকা প্রকাশ করা শুরু করেন। পত্রিকায় তিনি লিখতে শুরু করেন নানা ছোটো গল্প, কবিতা এমনকি তাঁর প্রথম উপন্যাস সমাধি-মিলন । তার সঙ্গেই শুরু করেন পত্রিকা অলঙ্করণ এর কাজ।
নৈহাটিতে থাকা কালীন বন্ধু দেবশঙ্কর মুখার্জির বাড়িতে তাঁর প্রায়শই আসা যাওয়া লেগে থাকত। এখানেই দেবশঙ্কর-এর দিদি গৌরীর সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। সমরেশ এবং গৌরী ভালো বন্ধু হয়ে ওঠেন এবং ধীরে ধীরে তা পরিণত হয় ভালবাসার সম্পর্কে। গৌরী একদিকে ছিলেন সমরেশের থেকে বয়সে বড়ো এবং স্বামী পরিত্যক্তা। উভয়ের পরিবারই তাদের সম্পর্কে মেনে নেয় না। অবশেষে দুজনে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন। আর্থিক টানাপোড়েন এর মধ্যেই এই নবদম্পতি উত্তর ২৪ পরগনার আতপুরের একটি বস্তিতে তাঁদের নতুন জীবন শুরু করেন।
সংসার চালাতে সমরেশ একটি পোলট্রি ফার্ম-এ কাজ করতেন এবং সেখান থেকে ডিম নিয়ে এসে বিক্রি করতেন ইংরেজ পরিবারে যারা সেনা ছাউনির পাশে আস্তানা করেছিল। ১৯৪৩ সালের জানুয়ারি মাসে সমরেশ ইছাপুর আর্মস কারখানায় ট্রেসার হিসেবে যুক্ত হন। তাঁর বড়ো মেয়ে বুলবুল-এর জন্ম হয় ১৯৪৩ এর ফেব্রুয়ারিতে। এই সময় তাঁর আলাপ হয় সত্যপ্রসন্ন দাসগুপ্ত তথা জনপ্রিয় সত্য মাষ্টার এর সঙ্গে যা সমরেশের জীবন এবং রাজনৈতিক দর্শনকে গভীর ভাবে প্রভাবিত করে। সত্য মাস্টার-এর উদ্যোগেই সমরেশ এবং গৌরী দুজনেই ভারতীয় কম্যুনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৪৫ সালে জন্ম নেয় তাদের দ্বিতীয় সন্তান দেবকুমার।
তাঁর লেখা প্রথম ছোটো গল্প ‘আদাব’ প্রকাশ পায় ১৯৪৬ সালে পরিচয় পত্রিকার শারদীয়া সংখ্যায়। প্রকাশনার সঙ্গে সঙ্গেই গল্পটি হয়ে ওঠে বহুল চর্চিত এবং বাংলা সাহিত্য মহলে সাড়া ফেলে। এই রকম সময়েই সমরেশ লিখতে শুরু করেন তাঁর প্রথম উপন্যাস নয়নপুরের মাটি , তখনও তিনি ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির কাজে নিযুক্ত।
১৯৪৯ সালে সমরেশ তখন চার ছেলেমেয়ের বাবা; নবকুমারের জন্ম ১৯৪৭ সালে এবং মৌসুমির ১৯৪৯ সালে। ১৯৪৯ সালে ভারতীয় কম্যুনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ হয় এবং পার্টির সদস্যদের রাজবন্দী করা হয়। সমরেশকে বন্দী করা হয় আলিপুর প্রেসিডেন্সী জেলে। গৌরীর তখন শোচনীয় অবস্থা, ছেলেমেয়েদের মুখে খাবার তুলে দেবার সামান্য পয়সা টুকু নেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হওয়া সত্ত্বেও গৌরী ছুটে যান পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ড. বিধান রায়ের কাছে। ড. রায় পরিবারের সাহায্যে এগিয়ে আসেন এবং সমরেশের জেল থেকে ছাড়া না পাওয়া অব্দি মাসোহারার ব্যাবস্থা করে দেন।
সমরেশ জেল থেকে ছাড়া পান ১৯৫১ সালে। রাইফেল ফ্যাক্টরি তে তাঁর কাজটি ততদিনে আর নেই। এই সময় তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে সাহিত্যসৃষ্টিকেই পেশা হিসেবে বেছে নেবেন। জেলে থাকাকালীনই তিনি লেখেন তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস উত্তরঙ্গ যা ১৯৫১ সালে প্রকাশ পায় তাঁর প্রথম উপন্যাস হিসেবে। পরবর্তী কিছু বছরের মধ্যে প্রকাশ পায় তাঁর আরও কয়েকটি উপন্যাস এবং ছোটগল্প যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বিটি রোডের ধারে, নয়নপুরের মাটি এবং শ্রীমতী ক্যাফে ।
১৯৫২ সালে ‘ভোট দর্পণ’ নামে একটি রাজনৈতিক প্রবন্ধ লেখার সময় সমরেশ প্রথম ‘কালকূট’ ছদ্মনাম ব্যাবহার করেন। ১৯৫৪ সালে যখন তিনি প্রয়াগ সংগমে গিয়ে ‘মহা কুম্ভ মেলা’ দেখার কথা মনস্থির করেন, তখন আনন্দবাজারের সঙ্গে তাঁর একটি চুক্তি হয় যে উনি তাদের প্রতিবেদক হয়ে সেখানে যাবেন এবং কুম্ভ মেলার অভিজ্ঞতা লিখে পাঠাবেন ফিরে আসার পরে তিনি লেখেন অমৃত কুম্ভের সন্ধানে যা পরবর্তীকালে দেশ পত্রিকায় কালকূটের নামে ছাপা হয়।
ইতিমধ্যে তাঁর লেখা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ছাপা হতে শুরু করেছে, অর্থনৈতিক অবস্থার খানিক উন্নতি হয়েছে। এই রকম সময়ে গৌরী আর চার ছেলে মেয়ে নিয়ে তিনি নৈহাটি ফিরে আসেন এবং সেখানে নতুন বাজার এলাকার পিছনের জমিতে একটি টালির বাড়ি কেনেন। ১৯৫৫ সালে গৌরী এবং সমরেশ ভারতীয় কম্যুনিস্ট পার্টির সদস্যপদ ছাড়েন। ‘অগ্নিকন্যা গৌরী বসু’ নিবন্ধে গোপাল বসু পার্টির কাজে তাঁদের প্রায়শ ‘অনুপস্থিতি’-কেই এর মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
পরবর্তী কিছু বছরের মধ্যেই সমরেশ গঙ্গা, ত্রিধারা, তিনপুরুষ, বাঘিনী -এর মতো উপন্যাস এবং ‘পাড়ি’, 'পশারিণী‘’-র মতো ছোটগল্প, লিখে বাংলার সাহিত্য জগতে নিজের ভিত পাকা করেন। ‘কালকূট’ ছদ্মনামে তিনি লেখেন নানা উপন্যাস যেমন নির্জন সৈকতে, অমৃত বিষের পাত্র, কোথায় পাবো তারে, ঘরের কাছে আরশিনগর ইত্যাদি। শুরু হয় তাঁর লেখাকে নিয়ে সিনেমা এবং নাটকের চিত্রনাট্য যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গঙ্গা এবং বাঘিনী। ১৯৫৮ সালে তিনি ‘দেশ’ পুরস্কারে সম্মানিত হন।
ষাটের দশকে সমরেশ শুরু করেন গদ্যের এক নতুন ধারা, বদল আসে লেখার বিষয়ে এবং শৈলীতে যা হয়ে ওঠে আরও প্রত্যক্ষ, বলিষ্ঠ এবং তৎকালীন পরিবর্তনশীল সমাজের দলিল। এই সময়েই শুরু হয় তাঁর দুটি উপন্যাস বিবর এবং প্রজাপতি ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক। প্রজাপতি উপন্যাসটির জন্য অশ্লীলতার অভিযোগ এনে লেখক এবং প্রকাশকের নামে আদালতে মামলা হয়। নিম্ন আদালত বইটিকে অশ্লীল বলে রায় দেন। ফলস্বরূপ উপন্যাসটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা ।মামলাটি অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে ওঠে যেখানে ১৭ বছর পর লেখক এবং প্রকাশক মামলাটি জেতেন এবং বইটির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
১৯৬৪ সালে প্রকাশিত তাঁর ছোটগল্প ‘স্বীকারোক্তি’-কে (যা পরবর্তীতে দীর্ঘায়িত হয় উপন্যাসে) ঘিরেও চলে নানা বিতর্ক। বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়েনি এবং বাদ যায়নি তাঁর ব্যাক্তিগত জীবনও। ১৯৬৭ সালে তিনি বিয়ে করেন তাঁর প্রথম স্ত্রী গৌরীর ছোটোবোন ধরিত্রী-কে। ১৯৬৮ সালে সমরেশের পঞ্চম সন্তান এবং ধরিত্রীর প্রথম সন্তান উদিতকুমার-এর জন্ম হয়। ধরিত্রী এবং উদিত-কে নিয়ে এরপর তিনি নৈহাটি ছেড়ে কলকাতার বাসিন্দা হন।
১৯৬৯ সালে প্রকাশিত হয় পাতক। এই উপন্যাসটিও অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত হয়। যদিও এতো বিতর্কের মধ্যেও সমরেশ নিজের কাজে অনড় থাকেন। ১৯৭২ সালে আনন্দ বাজার পত্রিকার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বুদ্ধদেব বসু এবং সন্তশকুমার ঘোষের সঙ্গে সমরেশও বিশেষ জুরি পুরস্কার পান। একি বছরে তাঁর মাতৃবিয়োগ ঘটে ।
১৯৭১ সালে তিনি সৃষ্টি করেন তাঁর প্রথম কিশোর সাহিত্য-উপন্যাস বন্ধ ঘরের আওয়াজ যা পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেয় বহুল জনপ্রিয় কিশোর গোয়েন্দা, গোগোল-কে। এরপর তিনি গোগোল-কে মুখ্য চরিত্রে রেখে একের পর এক কিশোর পাঠকদের জন্য রোমাঞ্চকর ভ্রমণ কাহিনী লেখেন। ১৯৭৩ সালে মোক্তারদাদুর কেতুবধ নামে তিনি আরও একটি কিশোর উপন্যাস লেখেন যা কিছুটা আত্মজীবনীমূলক এবং তাতে উঠে আসে তাঁর ঢাকা-র শৈশবজীবনের নানান ছবি।
১৯৭৫ সালে তিনি ‘ভ্রমর’ ছদ্মনামে আত্মপ্রকাশ করেন। মনে করা হয়, কিছু প্রকাশনা সংস্থার চুক্তি এড়াতেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। যদিও ভ্রমর ছদ্মনামে ঠিক কতগুলো উপন্যাস তিনি লিখেছেন তা নিয়ে যথেষ্ট মতান্তর রয়েছে কারণ পরবর্তীকালে তিনি তার অনেকগুলিই প্রকাশ করেন সমরেশ অথবা ‘কালকূট’-এর নামে।
কাজের চাপ, অক্লান্ত ঘোরাঘুরি এবং দিনের পর দিন অনিয়ম তাঁর শরীরে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছিল। ১৯৭৬ সালে ৫২ বছর বয়সে তিনি প্রথমবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন। কিছু বছরের মধ্যেই দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হন ১৯৭৯ সালে।
সত্তর এবং আশির দশকের শেষের দিকে প্রকাশিত হয় তাঁর বেশ কিছু বহুল চর্চিত এবং প্রশংসিত লেখা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত যুগ যুগ জীয়ে এবং ১৯৮১ সালে প্রকাশিত মহাকালের রথের ঘোড়া। এই সময়ে বিখ্যাত ভাস্করর রামকিঙ্কর বেইজ-এর জীবন এবং কাজ নিয়ে সমরেশ নিজের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণামূলক কাজে মনোনিবেশ করেন। গবেষণার কাজের জন্য তাই তাঁর বেশিরভাগ সময় কাটতে থাকল শান্তিনিকেতনে।
তাঁর উপন্যাস শাম্ব-র জন্য তিনি ১৯৮০ সালে সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার পান। ঐ বছরেরই ১১ই জুলাই তাঁর প্রথমা স্ত্রী গৌরী বসুর জীবনাবসান ঘটে। সেই একই বছরে রামকিঙ্কর বেজও মারা যান। গৌরীর মৃত্যু যেমন একটি ব্যাক্তিগত ক্ষতের জায়গা, অপরদিকে রামকিঙ্কর-এর চলে যাওয়া তাঁর আসন্ন উপন্যাসের পথে চূড়ান্ত বাধার সৃষ্টি করে। যেহেতু রামকিঙ্করের সঙ্গে তাঁর গবেষণা সংক্রান্ত সাক্ষাৎকার গুলো অসম্পূর্ণ থেকে যায়, সমরেশ এই উপন্যাসটিকে তাঁর পূর্ব পরিকল্পনা মাফিকজীবনী হিসেবে না লিখে একটি জীবনকাহিনী হিসেবে লেখার সিদ্ধান্ত নেন।
১৯৮২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে তিনি ‘মহানগর’ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বভার নেন। এই দায়িত্বে তিনি নিয়োজিত থাকেন ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত। অন্যদিকে এই সময়ে জাতীয় পরিসরে তাঁর পরিচিতি বাড়তে থাকে, বিশেষ করে যখন তাঁর লেখালেখি হিন্দি সিনেমায় রূপান্তরিত হয়, যার মধ্যে দুটি গুলজার-এর (‘কিতাব’ এবং ‘নামকিন’) এবং একটি বাসু চ্যাটার্জির (‘শওকীন’)। ‘নামকিন’ এর জন্য শ্রেষ্ঠ গল্প বিভাগে তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান।
ক্রমাগত শারীরিক অবনতি সত্ত্বেও তিনি ১৯৮৫ সালে সোভিয়েত রাশিয়া এবং ১৯৮৬ সালে পশ্চিম জার্মানি ভ্রমণে যান। এই সময় তাঁর 'পাখির চোখ' ছিল দেখি নাই ফিরে উপন্যাসটি। ১৯৮৬ সালে দেখি নাই ফিরে ‘দেশ’-এ প্রকাশিত হতে শুরু করে।
সমরেশের শেষ কাজ দেখি নাই ফিরে অসম্পূর্ণ থেকে যায়। ১৯৮৮ সালের ১২ই মার্চ তিনি তৃতীয় বারের মতো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর জীবনাবসান ঘটে।