হাতে লেখা ‘বীণা’ পত্রিকায় ‘সমাধি মিলন’ নামক উপন্যাসের হাত ধরে সমরেশ বসুর সাহিত্য রচনায় হাতেখড়ি। তখন তাঁর বয়স মাত্র পনেরো । ছ’বছর পরে ১৯৪৬ সালে তাঁর ছোটগল্প ‘আদাব’ প্রকাশিত হয় পরিচয় পত্রিকায়। সেই থেকেই তাঁর পেশাগত সাহিত্যিক জীবন শুরু। তাঁর জীবনের শেষ লগ্নেও তিনি তার অসমাপ্ত উপন্যাস দেখি নাই ফিরে লেখা চালিয়ে গেছিলেন। তাঁর সাহিত্য জীবনের সক্রিয় পর্যায়ে (১৯৪৬-১৯৮৮), গোটা দেশ এবং বাংলা জুড়ে চলেছে ঐতিহাসিক বদলের বহু ঘটনা, যেমন স্বাধীনতা, দেশভাগ, ভারতীয় কম্যুনিস্ট দলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, নকশাল আন্দোলন ইত্যাদি। এর সঙ্গে সঙ্গেই বদলে যাচ্ছিল দেশের মানুষের দৈনন্দিন জীবন এবং জীবিকা, তাদের চাওয়া পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা, তাদের দৈনন্দিন সমস্যা, তাদের বিশ্বাস, তাদের ক্ষোভ এবং সেগুলি প্রকাশ করার আঙ্গিক।
সমরেশের সাহিত্য তৎকালীন সমাজ ও সময়ের দর্পণ। তাঁর লেখায় বারবার ফিরে এসেছে তাঁর চারপাশে থাকা সাধারণ মানুষের গল্প। এই মানুষই তাঁর গল্পের হাতিয়ার। এই মানুষদের মাঝেই সমরেশ নিজেকে খুঁজে নিতে চেয়েছেন, পেরেছেন। আর পেরেছেন বলেই, আজও তাঁর সাহিত্য সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক। তবে যে মানুষ বলেছিলেন ‘সাহিত্যের চেয়ে জীবন বড়’ , তাঁর সাহিত্যকে আর জীবনকে আলাদা করে দেখা প্রায় অসম্ভব। তাই তাঁর লেখার আর জীবনের মধ্যে যে চলাচল, একজন একনিষ্ঠ পাঠক, সেটি বুঝে নিতে চাইবে। এই বিভাগে আমরা তিনভাবে এই দিকগুলির প্রতি দৃষ্টিপাত করেছি। প্রথম ভাগে রয়েছে লেখকের জীবনস্মৃতি, দ্বিতীয় ভাগে তাঁর সম্পূর্ণ গ্রন্থতালিকা এবং তৃতীয় ভাগে পাওয়া যাবে সমরেশ বিষয়ক বিভিন্ন গবেষণামূলক লেখালেখি, বই, পত্রপত্রিকা, প্রভৃতির একটি তালিকা। একটু তলিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে কিভাবে প্রথম বিভাগে উল্লিখিত তাঁর জীবনের সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে বদলে যাচ্ছে ওনার লেখার যাত্রাপথ। তৃতীয় বিভাগে রয়েছে তারই বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা এবং সুত্রের তালিকা।
সমরেশ বসুর ব্যাক্তিগত এবং পেশাগত জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা তথ্য সাল তারিখ সম্বলিত একটি সময়রেখা
স্বনামে এবং ছদ্মনামে প্রকাশিত লেখকের উপন্যাস, ছোটগল্প, প্রবন্ধ ইত্যাদি নানান সাহিত্যকর্মের বিস্তারিত তালিকা।